বিগত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল বিভাগে ২০৮ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। আর করোনা পজেটিভ ৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ২৪২ জন।

মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে বরিশালের উজিরপুর উজেলার বাসিন্দা শহীদুল (৪৮), বরিশাল নগরের নবগ্রাম রোড এলাকার বাহাউদ্দিন গাজী (৭০) ও রুপাতলী এলাকার সানজিদা রহমান (৫০) রয়েছেন।

এছাড়া গেলো ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাচলের জন্য আহবান জানিয়ে বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ে বরিশাল বিভাগে সংক্রমনের হার কম ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমনের হার বেশি। এই অবস্থায় শুধু করোনার টিকা গ্রহন করলেই চলবে না স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর বলছে, ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বরিশাল জেলায় ১০০ জন। এরপর ঝালকাঠিতে ২৯, পটুয়াখালীতে ২৮, ভোলায় ২৩, পিরোজপুরে ২১ ও বরগুনায় ৭ জন রয়েছেন। এ নিয়ে ১৩ মাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৩৭ জন। এরমধ্যে সর্বো্চ্চ বরিশালে ৬ হাজার ৭৪, এরপর পটুয়াখালীতে ১ হাজার ৯৯৯ জন, ভোলায় ১ হাজার ৫২১ জন, পিরোজপুরে ১ হাজার ৪৬৫, বরগুনায় ১ হাজার ১৬২ জন এবং ঝালকাঠিতে ১ হাজার ১১৬ জন।

এই ২৪ ঘন্টায় ৩০ জন রোগী বরিশাল বিভাগে করোনা সংক্রমন থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন। যা নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ২৮ জন। অর্থাৎ আক্রান্ত শনাক্তের মধ্যে ২ হাজার ৩০৯ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে কিছু রোগী হাসপাতালে, অন্যরা নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন।

বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন বরিশাল জেলায়। মোট মৃত্যুবরণ করা ২৪২ জনের মধ্যে বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ ১০৩ জন, এরপর পটুয়াখালীতে ৪৭ জন, পিরোজপুরে ২৯ জন, ঝালকাঠিতে ২৩ জন, বরগুনায় ২২ জন এবং ভোলায় ১৮ জন ।

প্রসঙ্গত, বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্বপ্রথম ২০২০ সালের ৯ মার্চ নারায়নগঞ্জ ফেরত পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার এক শ্রমিক আক্রান্ত শনাক্ত হন। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত ৪ শত ৫ দিনের আপডেটে এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।